ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পরিত্যক্ত ভবনে আতঙ্কে শিক্ষকরা, পাঠদান ব্যাহত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
পরিত্যক্ত ভবনে আতঙ্কে শিক্ষকরা, পাঠদান ব্যাহত পণ্ডিতসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-ছবি-বাংলানিউজ

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ৭৯ নম্বর পণ্ডিতসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১২০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী একটি বিদ্যালয়। প্রাচীন জনপদ, বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী ও পড়ালেখার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলাব্যাপী বিদ্যালয়টির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। 

পাঁচ শতাধিক শিশুর কলকাকলি আর ৮ জন অভিজ্ঞ শিক্ষকের পদচারণায় সার্বক্ষণিক মুখরিত থাকে বিদ্যালয়টি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে হঠাৎ করে বিদ্যালয়টির চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি পুরনো ভবনের পলেস্তারা ভেঙে পড়লে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা।

ওই সময় ক্লাস টাইম না হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তারা। খবর পেয়ে নড়িয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার পরিদর্শনে এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এরপর ভবনটি থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু বিকল্প উপায় না থাকায় লাইব্রেরি ও শিক্ষক মিলনায়তন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পরিত্যক্ত ভবনটি।

প্রতিনিয়ত ভবনটির পলেস্তরা একটু একটু করে খসে পড়ছে। আর এরই মধ্যে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এদিকে ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ায় শ্রেণীকক্ষ সংকটে পড়েছে বিদ্যালয়টি। যার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এক শিফটের স্কুল হওয়ায় বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

 পণ্ডিতসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পরিদর্শনে এসে ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন। এর পর থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপায় না থাকায় পরিত্যক্ত ভবনেই অফিসয়াল কার্যক্রর্ম চালিয়ে যাচ্ছি। যেকোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া শ্রেণীকক্ষ সংকটের কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদানও ব্যাহত হচ্ছে। ক্লাস নিতে হিমশিম খাচ্ছেন শিক্ষকরা। পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় এ বছর ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাই।

স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী রানী বলেন, পরিত্যক্ত ভবনটিতে ঢুকতে গেলেই ভয়ে আঁতকে উঠি। যতক্ষণ ভবনটির মধ্যে থাকি ততক্ষণ ভগবানকে ডাকতে থাকি। না জানি কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল আলম বলেন, পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত সংস্কার করা হবে। পাঠদান ব্যাহত হলে আপাতত পার্শ্ববর্তী কলেজের দু’টি কক্ষে ক্লাস নিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮ 
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।