বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দুই সিটি মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
নবনির্বাচিত দুই মেয়রের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে এখানে আপনারা দুইজন সিটি করপোরেশন মেয়র, একজন রাজশাহীর, একজন সিলেটের।
‘কাউন্সিলরগণও বিভিন্ন দল ও স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রত্যেক এলাকার জনগণ ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন। ভোট দিয়ে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জয়যুক্ত করতে পারছেন। এটা আজ প্রমাণিত। ’
তিনি বলেন, গণতন্ত্র বা জনগণের ভোটের অধিকার, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। আমরা সেই অধিকারের প্রতি সম্পূর্ণভাবে নিবেদিত। আমরা চাই জনগণের অধিকার জনগণের হাতেই থাকবে।
‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো- এই স্লোগানটা আমাদেরই ছিলো,’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
তিনি বলেন, কখনও কখনও ছোট-খাট ঘটনা ঘটে। যেখানেই ঘটুক না কেন আমরা সঙ্গে সঙ্গেই যথাযথ ব্যবস্থা নিই। ভোট জনগণের মৌলিক অধিকার, এটা তারা প্রয়োগ করবে, তাদের পছন্দ মতো প্রার্থী নির্বাচিত করবে। পছন্দ মতো সরকার নির্বাচিত করবে।
মেয়র ও কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ আস্থা রেখে আপনাদের ভোট দিয়েছে। যে দলই করুন না কেন নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে কাজ করা আপনাদের কর্তব্য। সরকার প্রধান হিসেবে আপনারা সব ধরনের সহযোগিতা পাবেন।
‘পাশাপাশি যদি অনিয়ম হয়, দুর্নীতি, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ হয়, তবে যে দলেরই হোক না কেন, কেউ-ই রেহাই পাবে না,’ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এর আগে রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরীকে শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় দুই সিটির কাউন্সিলরদেরও শপথ বাক্য পড়িয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এমইউএম/এমএ