বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম বলেন, ইভিএম কেনার আগে এর ব্যবহার সর্ম্পকে জনগণকে সচেতন করতে।
তিনি বলেন, যে কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার সর্ম্পকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে বছরের পর বছর সময় লাগে। সেখানে নির্বাচনের মাত্র চারমাস আছে। এখন কিভাবে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনার উদ্যোগকে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই ভালো। তবে সেটা হতে হবে নির্ভরযোগ্য। কিনতে হবে সবার মতামতের ভিত্তিতে। কারণ প্রযুক্তি কখনো ভুল করলে সেটা শোধরানোর কোনো সুযোগ নেই। ব্যালটে ভুল করলে শোধরানোর সুযোগ আছে। তাই আমাদের চিন্তা ভাবনা করে সবাইর সম্মতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসময় সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ইভিএম বুথে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে সুইচ থাকবে। তিনি সুইচ টিপ দেওয়ার পর ভোট দিতে পারবেন। এসময় যদি সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের একাধিকবার সুইচ টিপ দেন, তাহলে একজন ভোটারই একাধিক ভোট দিতে পারবেন। সুতরাং নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা না থাকলে ইভিএম মেশিন দিয়েও ভোট কারচুপি করা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এসই/এসএইচ