বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এসে তার পরিচয় শনাক্ত করেন।
গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উত্তর গোড়ানের নবীনবাগ এলাকার ৪০৯/৩ নম্বর বাসার পাশে একটি ম্যানহোল থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়।
পারভীনের ছেলে মোহাম্মদ পারভেজ বাংলানিউজকে জানান, তারা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল কাউন্সিল এলাকায় থাকেন। এলাকায় ফেরি করে কাপড় বেচতেন পারভীন। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ রাম গোপালপুর। ৩ সন্তানের জননী ছিলেন তিনি।
স্বজনরা জানান, প্রথম স্বামী মুকুল হোসেনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হয় পারভীনের। এরপর বছরখানেক আগে সাগর (৩০) নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় পারভীনের। সাগর গুলিস্তানের বিভিন্ন দোকানে ফিল্টারের পানি সরবরাহ করেন।
গত ২৯ আগস্ট (বুধবার) বিকেলে কাপড় বেচতে বাসা থেকে বের হন তিনি। সন্ধ্যার দিকে ছেলে পারভেজের সঙ্গে কথা হয় তার। সেদিন অনেক রাত হয়ে গেলেও তিনি বাসায় না ফেরায় রাত ১২টার দিকে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আর কোনো হদিস মিলছিলো না পারভীনের। সেজন্য যাত্রাবাড়ী-খিলগাঁওসহ আশেপাশের বিভিন্ন থানায় তার সন্ধানে যোগাযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার খিলগাঁও থানা পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুপুরে স্বজনরা ঢামেকে গিয়ে পারভীনের মরদেহ শনাক্ত করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ বুঝতে পারছেন না স্বজনরা, এমনকি কাউকে সন্দেহও করতে পারছেন না তারা।
অবশ্য খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডের কিছু ক্লু পাওয়া গেছে, ওই ক্লু ধরে পুলিশ কাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/