ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮
ট্রাভেল এজেন্সির আড়ালে প্রতারণা, গ্রেফতার ৯

ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সির অফিস বানিয়ে বিদেশে পাঠানোর নাম করে নিরীহ মানুষের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল একটি চক্র। খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারের দায়ে এই চক্রের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চালানো এ অভিযানে গ্রেফতাররা হলেন মো. শরীফুল ইসলাম ওরফে সজীব, গোলাম মোস্তফা কামাল, মোখলেছুর রহমান, মো. আশাদুল হক, মো. আলতাফ হোসেন রাজিব, মো. আসাদুজ্জামান বাবু, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. আব্দুল কাদের সরকার ওরফে নূর নবী, আবুল কালাম আজাদ ওরফে হাসান ওরফে বুলেট।

এসময় তাদের কাছ থেকে ২৪টি পাসপোর্ট (যার মধ্যে ৯টি জাল ভিসা), দশটি বিভিন্ন দেশের জাল ডিমান্ড লেটার, দু্ইটি সিল, পাঁচটি ইমিগ্রেশন ক্লিয়ারেন্স কার্ড, একটি কম্পিউটার ও ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মো. এনামুল কবির।

জব্দ করা টাকা, মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট।                                          ছবি: বাংলানিউজ

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সাতজন ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা গতকাল নিকুঞ্জ থেকে চক্রটিকে গ্রেফতার করি।  আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্বল্প সময়ের জন্য অফিস ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন স্থানের নিরীহ লোকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। প্রতারণার উদ্দেশ্যে ‘সেবা’ নামে একটি ভুয়া ট্রাভেল এজেন্সির অফিস নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জাল ভিসা ও জাল স্মার্ট কার্ড প্রস্তুত করে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল চক্রটি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, পুলিশের কাছে অভিযোগ সাতজন ভিকটিমের কাছ থেকে চার লাখ ২০ হাজার টাকা করে মোট প্রায় ২৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকা নিয়েছে তারা। এছাড়াও তারা আরও ১৫ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এনামুল কবির আরও বলেন, তাদের ভাষ্যমতে তারা তিন মাস ধরে ঢাকায় স্বল্প সময়ে অফিস ভাড়া করে প্রতারণা চালাচ্ছিল। মাস খানেক পর পরই তারা অফিস ও এলাকা পাল্টায়। তাদের এসব কাজের জন্য একজন মাস্টার মাইন্ড রয়েছে। এছাড়াও তাদের পেছনে গডফাদার রয়েছে যাদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, ভিকটিমরা নিজেদের অর্থ বুঝে নিতে আইনগত ভাবে আদালতে আবেদন করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
পিএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।