বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বড়লেখা উপজেলার উত্তর বাগমারা গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (২৪), কুলাউড়া উপজেলার কাদিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মনসুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ (২৩), চাতলগাঁও গ্রামের তফুর মিয়ার ছেলে মো. ইমরান (২২), কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রতাবী গ্রামের ফরমুজ আলীর ছেলে আকুল মিয়া (২৪) বর্তমানে চাতলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও দক্ষিণ চাতলগাঁও গ্রামের আ. ওয়াহিদের ছেলে (প্রাইভেটকার চালক) আলা উদ্দিন মাসুদ ওরফে মসুদ (২১)।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (০৪ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা সদরের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জাবেদ মিয়াকে চা পাতার ব্যবসার কথা বলে কুলাউড়ায় এনে একটি প্রাইভেট কারে তুলে জিম্মি করে। গাড়িতে ব্যবসায়ী জাবেদ মিয়াকে মারপিট করে তার সঙ্গে থাকা ৫৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর গাড়ি কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরতে থাকে। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী জাবেদ মিয়ার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের কাছে মোবাইল ফোনে কথা বলে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলে।
এদিকে, ব্যবসায়ীর পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা অপহরণকারীদের কথামত ২০ হাজার ৬০ টাকা পাঠায়। সেই সঙ্গে ব্যবসায়ী জাবেদ মিয়াকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে উপজেলার জয়চণ্ডী ইউনিয়নের গাজীপুর চা বাগানের নির্জন এলাকায় একটি মাজারের পাশে ফেলে যায়। খবর পেয়ে ব্যবসায়ী জাবেদ মিয়াকে আহত অবস্থায় গাজীপুর বাজারে থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
বিকাশে পাঠানো টাকা উত্তোলনের সূত্র ধরে এবং টাকা ভাগবাটোয়ারার গোপন সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের অভিযান চালিয়ে আটক করে।
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম মুসা বাংলানিউজকে জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণ বাবদ টাকা আদায়কারী চক্রের সঙ্গে আরও লোক জড়িত রয়েছে। তাদের আটকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
এনটি