বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাগেরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট সদর উপজেলার ভট্টবালিয়াঘাট গ্রামের আব্দুল ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির (২৮), গোলাম মোস্তফা ওরফে মাফুজের ছেলে ইব্রাহিম মোল্লা (২৭), দক্ষিণ খানপুরের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিজান (২৮) ও ফকিরহাট উপজেলার লকপুরের ওমর আলী মোল্লার ছেলে জুনু ওরফে ইসমাইল মোল্লা (৩৩)।
এছাড়া মামলার অপর আসামি খুলনার জোনাব আলী গাজীর ছেলে জয়নাল গাজীকে (৩৫) দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি সোহাগ ফকির ও ইব্রাহিম মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ মোল্লার ছেলে নসিমুন চালক মো. মামুন মোল্লা নিজ নসিমনে মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ওই চার আসামিকে নিয়ে খুলনা যান। এরপর থেকে আর মামুনকে খুঁজে পায়নি তার পরিবার। পরে ৯ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মামুনের বাবা আব্দুল্লাহ মোল্লা। এর ১০ মাস পর ১ জুলাই আব্দুল্লাহ মোল্লা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে সদর থানায় এজাহার দেন।
এজাহারে তিনি মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত চার আসামি তার ছেলেকে হত্যা করে জয়নাল গাজীর কাছে নসিমন বিক্রি করেছে বলে উল্লেখ করেন।
এরপর ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক মো. নিজাম উদ্দিন হাওলাদার ওই চার আসামিসহ পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হত্যার দায়ে চার জনকে মৃত্যুদণ্ড ও চোরাই মাল ক্রয়ের অপরাধে একজনের দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
বাগেরহাট কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) কাজী দাউদ হোসেন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের মধ্যে সোহাগ ফকির ও ইব্রাহিম মোল্লাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা পালাতক রয়েছে।
এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাহিদ হোসেন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. এনায়েত হোসেন, মনোজ কুমার শিকদার। ৱ
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৮
জিপি