তাদের দাবি, যে সময় সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, ঠিক সেই সময় শ্রম আইন সংশোধন করার মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে চালাকির চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনগুলোর নেতারা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে গার্মেন্টস শ্রমিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, মন্ত্রী পরিষদে অনুমোদিত শ্রম সংশোধনী আইনে বাংলাদেশের সংবিধান ও আইএলও কনভেনশনের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেনি। যা শিল্প সম্পক উন্নায়নে ভূমিকা পালন করতে পারবে না। এ সংশোধনী শ্রমিক স্বার্থ পরিপন্থী। তাই এটার পুন:বিবপচনার জোর দাবি জানাই।
শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন বলেন, সংশোধনী শ্রম আইন মালিক-শ্রমিক সম্পর্কে ফাটল তৈরি করবে। দেশের বৃহত শিল্প রক্ষার জন্য অনুমোদিত শ্রম আইন সংশোধনীর পুন:বিবেচনার দাবি জানাই। এটা করতে হবে দেশের স্বার্থে, শিল্প রক্ষার স্বার্থে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, প্রস্তাবিত আইনে শ্রমিকদের সঙ্গে অসদাচরণ, শিশুশ্রম, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা হয় না। সেখানে নতুন করে কতিপয় ধারা যুক্ত করার মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে চালাকি করা হচ্ছে। শ্রমিকদের স্বার্থ খর্ব করে মানবাধিকার, সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই এটা পুন:বিবেচনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
মানববন্ধন শেষে অনুমোদিত সংশোধিত শ্রম আইনের পুন:বিবেচনার দাবিতে মিছিল সহকারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বরাবর স্মারকলিপি দিতে গেলে হাইর্কোট মোড়ে মিছিলটি আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শ্রমিক নেতারা। সমাবেশ পরে শ্রমিক নেত্রী জলি তালুকদার, লীমা ফেরদৌস, শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিতে যান। পরে তারা প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
ইএআর/এএটি