রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পৌর এলাকার ভাগলপুর মহল্লার জয়নাল আবেদীনের ভাড়া বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের ভিড়ের মধ্যে কাঁদতে কাঁদতে ছুটোছুটি করছে সাত বছরের শিশু রায়হান। একবার বাড়ির ভেতরে ঢুকছে আবার বাইরে গিয়ে বাবার খোঁজ করছে। গলির ভেতরে ঢুকতেই এক কোনে কোলে বাচ্চা নিয়ে কাঁদছেন বৃষ্টি বেগম। দুই বছরের জিসান মায়ের কোলে এবং তিন বছরের মায়া মায়ের আঁচল ধরে কেঁদে চলছে।
কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই হাউ মাউ করে বলতে শুরু করেন, আমার সংসারের সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, আর কিছুই বাকি নেই। চাল-চুলা, কাঁথা-বালিশ সবই পুড়ে গেছে। এখন আমি ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাবো, আর ওদের কি খাওয়াবো। স্বামী আব্দুল লতিফ জীবিকার তাগিদে সকালেই বেরিয়ে গেছেন ছেলে-মেয়েদের খাবার জোগাড় করতে। ঘরে থাকা এক জোড়া কানের দুল, গলার চেইন ও মোবাইল ফোনসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বাচ্চারা বাবার পথ চেয়ে কান্না করছে। দুপুরে খাবার খেতে এলে তাকে কি খেতে দেবো, আর বাচ্চাদেরকেই বা কি খাওয়াবো বলে কাঁদতে থাকেন বৃষ্টি।
বাড়ির মালিকের ছেলে পাভেল জমাদ্দার বলেন, আমাদের টিনসেড বাড়িটিতে হঠাৎ আগুন লাগলে পুরো বাড়ির সবগুলো কক্ষই পুড়ে যায়। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সাভার ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার লিটন আহম্মেদ জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দু’টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল থেকে এ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিলো না। কিন্তু বাড়িটিতে গ্যাসের লাইন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের চুলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। বিষয়টি তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
আরবি/