রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে (বিবিএস) এনএইচডি প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় ফেজের কাজের উদ্বোধন করা হয়। চলতি মাসের ২৭ তারিখে মাঠ পর্যায়ে তথ্য নেওয়া শুরু হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিবিএস মহাপরিচালক ড. কৃষ্ণা গায়েন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বিকাশ কিশোর দাস, অতিরিক্ত সচিব (তথ্য ব্যবস্থাপনা) মাহমুদা আকতার।
রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের ২২ জেলায় তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মোট জোনাল অফিসার ২২শ, সুপারভাইজার সাড়ে ১১ হাজার এবং উপজেলা সমন্বয়কারী ১৬৭ জন নিয়োগ দেওয়া হবে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে।
প্রথমধাপে ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২৩ এপ্রিল বরিশাল ও রংপুর বিভাগের সব জেলায় ৮৫ লাখ খানার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
দ্বিতীয়ধাপে ২০১৭ সালের ১৪ ই জানুয়ারি থেকে ০২ জানুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ খানার তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
তৃতীয়ধাপ মিলিয়ে মোট ৩ কোটি ৬০ লাখ তথ্য সংগ্রহ করা হবে। তৃতীয়ধাপই শেষ ধাপ বলে জানায় বিবিএস।
(এনএইচডি) প্রকল্পে দেশের দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারভিত্তিক দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের চিহ্নিত করা হবে। ফলে প্রকৃত দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের দারিদ্র্য দূর করা সরকারের জন্য সহজ হবে। এনএইচডি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সম্ভব হবে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বাস্তবায়িত বিভিন্ন কর্মসূচি প্রকল্পের উপকারভোগী নির্বাচনে দ্বৈততা রোধ করা। খানার আর্থ-সামাজিক পর্যায় থেকে সামাজিক অবস্থা চিহ্নিত করা হবে।
মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যের মাধ্যমে আধুনিক পরিসংখ্যান পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রতিটি খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্দেশক একটি স্কোর দেওয়া হবে।
প্রকল্পের পরিচালক ও বিবিএস-এর অতিরিক্ত সচিব শফিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয়ধাপে আরও এক কোটি ১৪ লাখ পরিবারের সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করবো। এর মাধ্যমে দেশের দরিদ্র পরিবারকে চিহ্নিত করা সহজ হবে। এলাকাভিত্তিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে সরকার দ্রুত সময়ে দারিদ্র্য নিরসন করতে পারবো।
সরকার চাচ্ছে দেশের সব খানা (পরিবার) ও খানার সদস্যদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের মাধ্যমে সব জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক তথ্য সম্বলিত একটি জাতীয় ডাটাবেজ তৈরি করতে। এই ডাটাবেজের মাধ্যমেই খানার আর্থ-সামাজিক অবস্থার নির্দেশক স্কোরসহ সব খানার জন্য ডাটাবেজ থাকবে।
এনইচডি প্রকল্পের মোট ব্যয় ৭২৭ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাকি অর্থ আসবে বিশ্বব্যাংকের ঋণ থেকে।
প্রকল্পের আওতায় খানার বাসগৃহের ধরন, মালিকানাধীন জমির পরিমাণ, খানার সম্পদ, স্যানিটেশন-সুবিধা, পানীয় জলের ব্যবস্থা, খানা সদস্যদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, খানা প্রধান, খানার সদস্য সংখ্যা ও আয়ের বিবরণী উল্লেখ থাকবে প্রকল্পের আওতায়। তথ্য সংগ্রহকারীরা প্রতিটি খানায় যাবেন এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআইএস/এএ