সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মামলা দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম মামলা দুটির চার্জশিট আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর দাখিল করেন।
স্বপন কুমার সাহা হত্যায় ১০৯ পাতা ও প্রবীর চন্দ্র ঘোষ হত্যায় ২০৩ পাতার চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়।
এর মধ্যে, প্রবীর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পিন্টু দেবনাথ, আবদুল্লাহ আল মামুন ও বাপেন ভৌমিককে অভিযুক্ত করা হয়। অপরদিকে, স্বপন কুমার সাহা হত্যা মামলায় পিন্টু দেবনাথ, তার বান্ধবী রত্না রাণী ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।
এসআই মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলো বেশ জটিল ছিল। একেবারেই ক্লুলেস ছিল। সেখান থেকে রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। আশা করছি চার্জশিটের পর প্রকৃত দোষীরা সর্বোচ্চ সাজাও পাবে।
১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ। পরে গত ৯ জুলাই সড়কে শহরের কালীরবাজার এলাকা থেকে পিন্টু দেবনাথ ও বাপানে ভৌমিক বাবুকে গ্রেফতার করে ডিবি। তাদের দেওয়া তথ্যমতে রাতেই শহরের আমলাপাড়া এলাকার রাশেদুল ইসলাম ঠান্ডু মিয়ার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীর ঘোষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহাকে ৭ টুকরো করে হত্যার পরে শীতলক্ষ্যায় মরদেহ ফেলে দেওয়ার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে বন্ধুরূপী ঘাতক পিন্টু। ২২ জুলাই নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে পিন্টুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টায় ৮ পাতার জবানবন্দিতে স্বপন হত্যার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন পিন্টু।
এর আগে, ১৯ জুলাই স্বপন হত্যা মামলার আসামি পিন্টুর বান্ধবী রত্না রাণী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বপন হত্যার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। একইদিন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুনও।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এনটি