সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমতি নিয়ে বিলটি উত্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী। বিরোধিতার জবাব দিতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা জানি এই অধিবেশন স্বল্প সময়ে শেষ হয়ে যাবে।
দিনের কার্যসূচির সম্পূরক সূচিতে বিলটি উত্থাপনের পর বিরোধিতা করে ফখরুল ইমাম বলেন, নিয়মানুযায়ী সাত দিন আগে নোটিশ দিয়ে বিল উত্থাপন করলে আমরা এর সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারতাম। তাই একটু সময় নিয়ে বিল উত্থাপন করা হলে ভালো হয়।
জবাবে স্পিকার বলেন, এই বিলটিকে যদি ‘ডিসক্রেশন’ (বিশেষ বিবেচনা) না দেওয়া যেতো, যদি স্বল্পতর নোটিশ না করা হতো, যদি সাত দিনের নোটিশ সময় বহাল রাখা হতো, তাহলে বিলটি এই অধিবেশনের ভেতর পাস করা কঠিন হয়ে যেতো। সে কারণেই এই ডিসক্রেশনটা ব্যবহার করেছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে একাধিক ধারার ইসলামী শিক্ষা প্রচলিত আছে। কওমি মাদ্রাসাসমূহে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী শিক্ষা নেন। কিন্তু তাদের স্বীকৃত কোনো ডিগ্রি না থাকার ফলে শিক্ষা নেওয়ার পর তারা বাস্তব কাজে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন না। তাই মাদ্রাসাসমূহের জন্য আইনটি করতে বিল নিয়ে আসা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিতে তার নির্দেশনায় বিলটি নিয়ে এসেছি। এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে পাস করা প্রয়োজন। সে কারণেই স্পিকারের ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এসএম/এইচএ/