বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু আর্ন্তজাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) এ কথা জানিয়েছেন। পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন তিনি।
এর আগে শ্রম মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ সফররত আইএলও প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী। চার সদস্যের এই সফরকারী দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থার পরিচালক এনি ডারউইন।
প্রতিমন্ত্রী চুন্নু জানান, আইএলও বাংলাদেশের কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা পরের স্বাস্থ্য ও আর্থিক ঝুঁকি দূর করতে ‘ইনজুরি স্কিম’ চালুর বিষয়ে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে।
‘‘জবাবে আমি তাদের বলেছি, আমাদের সামাজিক ও আর্থিক প্রেক্ষাপট এই ‘ইনজুরি স্কিম’চালুর জন্য এখনও উপযুক্ত নয়। আমাদের যারা কল-কারখানা মালিক রয়েছেন, তারাও মানসিকভাবে এই প্রস্তাব শুনতে প্রস্তুত নন। ’’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে প্রস্তাবটা ভালো। আমাদের শিল্প খাত ক্রমশ বিকশিত হচ্ছে। শিল্পের সক্ষমতা ও আর্থিক ভলিউম বড় হচ্ছে। ভারী শিল্পের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকের ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। তাই এই ধরনের উদ্যোগ অবশ্যই বিবেচনা যোগ্য।
‘আমি তাদের কাছ থেকে এ সংক্রান্ত সুস্পষ্ট প্রস্তাব চেয়েছি। কাগজ-পত্র চেয়েছি। আমরা এইসব নিয়ে কাজ করবো। গবেষণা করবো। স্টেক হোল্ডারদের (শ্রমিক ও মালিক) সঙ্গে কথা বলবো। তাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করবো। এরপর দেখা যাবে এটা কিভাবে শুরু করা যায়। ’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘সামনে নির্বাচন। কিছুদিন পরই নির্বাচনকালীন সরকার আসছে। তাই আপাতত এটা চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী সরকার ক্ষমতায় এসে এটা ভাববে বলেও আমি তাদের (আইএলও) জানিয়েছি। ’
বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার উল্লেখ করে তিনি জানান, এই কারণে বর্তমাম শ্রম আইনে ৪৯টি ধারা সংশোধনের মাধ্যমে শ্রমিকবান্ধব ধারায় পরিণত করা হচ্ছে। বর্তমানে তা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য রয়েছে। সেখান থেকে তা মন্ত্রিপরিষদ হয়ে সংসদে যাবে।
‘অক্টোবরের অধিবেশনে তা পাস হবে। এই আইনকে মূল ধরেই ইপিজেড ওয়ার্কার্স ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আইন করা হচ্ছে,’ যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
আরএম/এমএ