জানা যায়, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় এই উপজেলায় ২৩ হাজার ৫১২ জন কার্ডধারীর তালিকা করা হয়। প্রত্যেক কার্ডধারী ১০ টাকা কেজিতে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।
আবার এই পুরো কার্যক্রম দেখভাল করতে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) অফিস থেকে ৪৫ জন ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এদের বেশিরভাগই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মী।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিসুর রাজ্জাক ভূইয়া বাংলানিউজকে বলেন, এই দায়িত্ব দেওয়ার সময়ই আমাদের বলা হয়েছিল টিএ/ডিএ দেওয়া হবে। রুটিন মাফিক ইপিআইয়ের কাজও করতে হচ্ছে আবার এই দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। সারাদিন কোনো নাস্তা নাই, খাওয়া-দাওয়া নাই। আবার কোনো ভুল হলে দায় আমাদের।
তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে টিএ/ডিএ’র কথা বলেছি। গতবারও তিনি বলেছেন ব্যবস্থা করে দিবেন। কিন্তু কখনোই কোনো ব্যবস্থা করেননি। আমরা বুধবার ১১টি ইউনিয়নেই দায়িত্ব পালন শুরু করেছি। তবে এই কাজে কোনো ট্যাগ অফিসারেরই আগ্রহ নেই।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, টিএ/ডিএ প্রত্যাশার ট্যাগ অফিসারদের এই দাবিটি আমার দেখার বিষয় না। আমাদের কাজ হচ্ছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ঠিকভাবে চলছে কি না তা দেখা। কোনো ডিলার অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সব কাজের জন্য টিএ/ডিএ দেওয়া হয় না। প্রত্যেকে নিজ নিজ কাজের পাশাপাশি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কাজ মনিটরিং করবেন। এই কাজে তাদের টিএ/ডিএ চাওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এমএএএম/এনএইচটি