যায়েদ মাগুরা শহরের আদর্শ পাড়ার মুন্সী কায়েমুজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে যায়েদ মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
যায়েদের বাবা মুন্সী কায়েমুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, যায়েদ দীর্ঘদিন ধরে টিস্যু জনিত দুর্বলতায় আক্রান্ত। এ কারণে তাকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি দিতে হয়। এ বছরের জুলাইয়ে লিখিত দরখাস্তের মাধ্যমে যায়েদকে কোনো কারণেই মারপিট করা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে না পারায় যায়েদকে তিনি নির্দয়ভাবে মারধর করেন। এরপর বাড়ি এসে যায়েদ বিষয়টি গোপন রাখে। রাতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় যায়েদ বাংলানিউজকে জানায়, আমি স্যারের মারের হাত থেকে বাঁচার জন্য তার পা জড়িয়ে ধরেছিলাম। তারপরও তিনি মারতে থাকেন আর বলেন ‘আমি কখন হাসি, কখন রাগি, কখন খুন করে দিতি ইচ্ছা করে তা উপরওয়ালাও জানে না। ’
এ বিষয়ে শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, যায়েদের কথাবার্তা আমার কাছে ব্যঙ্গাত্মক বলে মনে হয়েছিল। এ কারণে তাকে শাসন করেছি। তবে যায়েদ যে গুরুত্বর অসুস্থ ছিলো সেটা আমার জানা ছিলো না এ কারণে আমি দুঃখিত। আমি যায়েদকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এনটি