ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

`বিদেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা হবে'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
`বিদেশে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা হবে' পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

ঢাকা: যেসব বাংলাদেশি বিদেশে বিনিয়োগ করেছেন সেসব বিনিয়োগ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন 
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ আয়োজিত ‘উদীয়মান বাংলাদেশ: ব্যবসাবান্ধব নীতি ও পরিকল্পনা শীর্ষক’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী দিনের পরিকল্পনা হচ্ছে দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ীদের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।

তখন বাংলাদেশিরা আবার বিদেশ থেকে বিনিয়োগ দেশে নিয়ে আসতে বাধ্য হবেন।  

‘এজন্য নতুন করে আরও একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ট্যাক্স হলিডে, শুল্কমুক্ত কাচাঁমাল আমদানি, নির্মাণ সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে সুবিধা দেওয়া হবে। সেখানে অনেক বড় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ থাকবে,’ বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে সবচেয়ে কম বয়সে উদ্যোক্তা তৈরি হয়। বর্তমানে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৬০ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম। সাড়ে তিন থেকে চার কোটি মানুষ এখন মধ্যম আয়ের দেশের পার ক্যাপিটা আয়ের তালিকাভুক্ত। এদের সবারই ট্যাক্স দেওয়া উচিত। তবে বিশ্বের কয়েকটি দেশের তুলনায় বাংলাদেশে আয়কর এবং কর্পোরেট কর অনেক বেশি।  

আয়কর ১০ শতাংশ করা হলে করদাতার সংখ্যা আড়াইলাখ থেকে পাঁচ লাখে উন্নীত করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ডের (বিডা) নির্বাহী পরিচালক কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ আসে একমাত্র তৈরি পোশাক থেকে। রফতানি আয় বাড়ানোর জন্য অন্যান্য খাতের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। নীতি ঠিক করতে হবে। কোথায় দৌড়ালে লাভ বেশি হবে। সেখানে দৌড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অবস্থান থেকে দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে যেতে হলে মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারে উন্নীত করতে হবে। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে মাথাপিছু আয় করতে হবে ১৫ হাজার ডলার। তবে ২০১৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৫ হাজারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট ওমর সাদাত বলেন, দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কোন বিকল্প নেই।  

তিনি বলেন, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে। বিনিয়োগকারীরা আসছেন না। এর অন্যতম কারণ হলো মূলধন ঘাটতি। এছাড়াও শেয়ারবাজারে বৈদেশিক বিনিয়োগের অংশটাও ততটা বাড়েনি। দক্ষতা বাড়াতে সরকারী বেসরকারী অংশীদারিত্বে কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮/ আপডেট ১৭৩০ ঘণ্টা
এসই/এএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।