সঞ্জনা বিশ্বাস পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার চরমেঘনা গ্রামের বিশ্বজিত বিশ্বাসের মেয়ে। আর লাবু মিয়া কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের সীমান্তসংলগ্ন জামালপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
এ নিয়ে শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর সীমান্তে ১৫২/৬(এস) সীমান্ত পিলার সংলগ্ন নোম্যান্সল্যান্ডে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মধ্যে পতাকা বৈঠকও হয়েছে।
৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক নায়েক সুবেদার সুবোধ পাল বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে সঞ্জনা বিশ্বাস বাংলাদেশে চলে আসেন। ওই তরুণী সীমান্তবর্তী এলাকার লাবু মিয়া নামে এক যুবকের বাড়িতে ওঠেন। তাকে ফেরত চেয়ে বিএসএফ চিঠি দিয়েছে। চিঠি পেয়ে বিজিবি সদস্যরা লাবু মিয়ার বাড়ি গিয়ে তরুণীর সন্ধান চাইলে পরিবারের লোকজন জানায়— ‘তারা বাড়ির কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় চলে গেছে। দুজন বিয়ে করে ফেলেছে। ’
তিনি আরও জানান, এ নিয়ে শনিবার বিজিবি ও বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ভারতের চরমেঘনা ক্যাম্পের অধিনায়ক ইন্সপেক্টর বান কে সিং। বিজিবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— ওই তরুণীর সন্ধান পেলে বিএসএফ’র কাছে ফেরত পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
জিপি