কেন দেব না জানতে চাইলে সে জানায়, শুনেছি বাচ্চারা ভিক্ষা করলে পুলিশ জেলে দেয়।
নিজের বয়সটাও ঠিকমতো বলতে পারে না ৪-৫ বছরের শিশু আল-আমিন।
আল-আমিন জানায়, বাবা মারা গেছে না কি কোথায় আছে সে খবর জানে না সে। মায়ের সঙ্গে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার দুলালের ভাড়া বাড়িতে সে সৎ বাবার সংসারে থাকে। সৎ বাবা যখন যে কাজ পান তাই করেন। আর মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন।
গত দুইদিন ধরে পল্লি বিদ্যুৎ বাসস্ট্যান্ডে গাড়ি পার্কিং করিয়ে চেয়ে টাকা রোজগার করছে সে। প্রথমদিন তিনশ’ টাকা এবং দ্বিতীয়দিন দুইশ’ টাকা আয় হয়েছে তার। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলে পড়ালেখা করতে চায় আল-আমিন। কিন্তু অভাবের সংসারে যেখানে দুইবেলা খেয়ে-পড়ে বাঁচার জন্য রাস্তায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি পার্কি করে যাচ্ছে সেখানে তার লেখাপড়ার দায়িত্ব নেবে কে?
আল-আমিন অভিযোগ করে, পড়ালেখার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকলেও সৎ বাবা স্কুলে ভর্তি করে না দেওয়ায় পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত আল-আমিন।
গাইবান্ধার বেলকা গ্রামে তার বাবার বাড়ি। রাস্তায় কে কাজ করতে বলেছে জানতে চাইলে সে বলে, কেউ বলেনি কিন্তু পেটের ক্ষুধায় করি। বিভিন্ন গাড়ির হেলপাদের কাছে চেয়ে যা পায় বেলাশেষে বাড়িতে নিয়ে বাবার হাতে তুলে দিতে হয়।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়কে কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর আবুল হোসেন বলেন, আমাদের কোনো সদস্য তাকে রাস্তায় কাজ করতে বলেছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া শিশুটি পড়ালেখার সময় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে কেন বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিধিসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরআর