রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিহত রিনা সদর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মফিজ উদ্দিনের মেয়ে।
জানা যায়, শনিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই গৃহবধুরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে ওই রাতে গুরুদাসপুর থানায় রিনার স্বামী রনি সরদার, শ্বশুর হাবিল সরদার, তার শাশুড়ি ছামিনা বেগমসহ (৫০) পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, ছয় বছর আগে রনি ও রিনার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ওই গৃহবধূর বাবা যৌতুক বাবাদ নগদ এক লাখ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার ও আসবাবপত্র দেওয়া দেন। কিন্তু আরও দুই লাখ টাকার যৌতুকের দাবি করে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলেন রনি ও তার পরিবারের লোকজন। তাদের রাব্বী (৩) নামে এক সন্তান রয়েছে।
শনিবার সকালে যৌতুকের বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে স্বামী রনি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্ররোচনায় রিনাকে নির্যাতন শুরু করেন। একপর্যায়ে রনি তার স্ত্রী রিনাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। এসময় তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি সেলিম রেজা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
জিপি