পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সালের চলতি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ৫০৮টি নারীও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে জেলাজুড়ে।
জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর জেলার মান্দা উপজেলার চকভালাইন গ্রামে সজনী নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে পানির ট্যাংকিতে গুম করেন তার স্বামী ওয়াজেদ আলী।
৩০ আগস্ট একই উপজেলার চককেশব গ্রামে স্বামী কাওসার আলীর নির্যাতনে মৃত্যু হয় জরিনা বেগম এক গৃহবধূর। এছাড়া জেলার ধামইরহাট উপজেলার ভেরম সোনাদিঘী গ্রামে ১৮ আগস্ট স্বামীর লাঠির আঘাতে ফুলমুণি হাজদা নামে এক আদিবাসী নারীর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে, পোরশা উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়ায় ২৮ জুন অনৈতিক কাজের অভিযোগ এনে স্বামী বাবু ও স্ত্রী সুলতানাকে মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে বেঁধে মারধর করে গ্রাম্য মাতবররা। শুধু একটি দুটি নয় এমন ছোট-বড় নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে মাঝে মধ্যেই। প্রকাশ্য নির্যাতনের বাইরেও গোপনে ঘটছে আরো নির্যাতনের ঘটনা। যা সমাজ ও সম্মানের ভয়ে প্রকাশ করেনা অনেকেই।
নওগাঁ বিচারক আদালতের আইনজীবী মহশিন রেজা বাংলানিউজকে বলেন, নওগাঁ সীমান্তবর্তী জেলার কারণে নারী ও শিশুদের দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মাদকের কাজ করানো হয়। বাল্য বিবাহর প্রভাব, পারিবারিক কলহের পাশাপাশি পরকিয়ার কারণে নারী ও শিশু নির্যাতন দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। এসব নির্যাতন রোধে পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
এ বিষয়ে নওগাঁর পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রধান কারণ বাল্য বিবাহ। বাল্য বিবাহর কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্ছিত হয়ে অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। ফলে সমাজে এরকম বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ ও নারী নির্যাতন বেশি হচ্ছে। তবে পুলিশ সজাগ রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্য বিবাহ, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়তে পুলিশ সবসময় কাজ করছে।
এছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এনটি