রোববার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটার সময় মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ গাজী রহমান এ আদেশ দেন। এ মামলায় অপর দুই আসামি ফুলঝুড়ির বাবা আব্দুল করিম ও ভাই মোহাম্মদ আলীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ফুলঝুড়ি নন্দীতা মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১২ সালে উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের আনছার আলী বিশ্বাসের ছেলে ফিরোজ আলীর সঙ্গে ভবেরপাড়া গ্রামের ফুলঝুড়ির বিয়ে হয়। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বিয়ের চার মাস পর একই সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বাবার বাড়িতে স্বামী ফিরোজ হোসেনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফুলঝুড়ি। ওই দিন সকালে ফিরোজ হোসেনের বাবা-মা মুজিবনগর থানায় খবর দিলে পুলিশ সকালে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ফিরোজ হোসেনের বাবা আনছার আলী বিশ্বাস বাদী হয়ে ফুলঝুড়ি খাতুনকে প্রধান করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন মুজিবনগর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মধুসুদন মোস্তবী।
মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলার নথি ও সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লভ ভট্টাচার্য এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
আরএ