সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার: সুশাসন ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বতমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য বলা যাবে না।
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, স্বার্থের দ্বন্দ্ব থাকায় সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হতে পারেনি। একইসঙ্গে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়নি। প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগে নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব দেখা যায়।
তিনি আরও বলেন, দলীয় নির্বাচনে অনুষ্ঠিত অনেক নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু পরাজয় হলেই সেই। ফলাফল মেনে না নেওয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। ফলাফল মেনে না নেওয়ার কারণে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন দলের মনোনয়ন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রচর্চার ঘাটতিও রয়েছে।
সংবাদ সম্মলনে সংসদে নারীদের সংরক্ষিত আসন ৩৩ শতাংশের সুপারিশ করা হয়। সংরক্ষিত এসব আসনে সরাসরি নির্বাচনেরও সুপারিশ করে সংগঠনটি। তাছাড়া জাতীয় বাজেটে কালো টাকাকে বৈধতা না দেওয়া, পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত নিয়ে আসার কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির উপদেষ্টা ও নির্বাহী ব্যবস্থাপক ড. সুমাইয়া খায়ের, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
ইএআর/এএটি