সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান তিনি।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোনো কোনো দফতর/সংস্থায় নিয়োগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন, কিছু কিছু পদ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণযোগ্য এবং কিছু কিছু পদ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে পুরণযোগ্য বিধায় শূন্য পদ পূরণের তারিখ নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়।
একই সংসদ সদস্যের অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও জানান, প্রজাতন্ত্রের অফিস আদালতে সাধারণ মানুষ যাতে সঠিক সেবা পায় সেই বিষয়ে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিটিজেন চার্টার প্রস্তুত ও প্রদর্শনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেবা দেওয়ার কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। সেবাদানের ক্ষেত্রে যেকোন অনিয়ম/ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে সে বিষয়ে প্রতিকারের জন্য অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) চালু করা হয়েছে। অধীন দফতর/সংস্থা ও মাঠ প্রশাসনের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জানান, সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে হেল্প ডেক্স স্থাপন করা হয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেমন- ইএফটিএন, ই-নথি, ই-মেইল মারফত দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা আনতে ই-জিপি/ ই-টেন্ডারিং চালু করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে যথাসময়ে সরকারি কর্মচারীদের সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে সকল সরকারি অফিসে ইলেকট্টনিক হাজিরা চালু করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এসকে/এমজেএফ