সেই সঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার ইছাহাক আলীর ছেলে আব্দুল হালিম, গোরস্থানপাড়ার আমজাদ হোসেনের ছেলে রাদিল ইসলাম আকালী, গাংনী উপজেলার থানাপাড়া এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে মাসুদ রানা ও অলিপাড়ার আরশাদ আলীর ছেলে লাল্টু হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় আব্দুল হালিম ও আকালী উপস্থিত থাকলেও অপর দু’জন পলাতক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১ এপ্রিল মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজারে পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান রিপনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় রিপন ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান এবং দোকানের দুই কর্মচারী আহত হন। পরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ এপ্রিল রিপন মারা যান। এর পরদিন রিপনের বাবা আব্দুল হালিম বাদী হয়ে সদর থানায় হত্যা ও বোমা হামলার পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পৌরসভার তৎকালীন মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল্লা আল মামুন বিপুলের নাম উল্লেখ করে ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুকে বাদ দিয়ে ২০১৪ সালে সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে সোমবার এ রায় দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল ইসলাম। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিহত রিপনের ছোট ভাই মেহেরপুর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। কারণ, মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুকে ফাইনাল চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছে পুলিশ। আমরা রায়ে আসামিদের ফাঁসি আশা করেছিলাম।
উল্লেখ্য, রিপন হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি ছিলেন পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লা আল মামুন বিপুল। তিনি ২০১৪ সালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৮
এসআই