কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বাংলানিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের সহকারী পরিচালক মঈনুল হাসান রওশনীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এ অভিযানে অংশ নেয়।
এ সময় অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চায় দুদক টিম। তিনি দুদক টিমকে জানান, দুর্নীতির কারণে বদলি ও পদায়ন কার্যক্রমে পুরোপুরি স্বচ্ছতা আনা যাচ্ছে না। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষকদের সমস্যা নিরসনে মহাপরিচালক অভিযোগকারী শিক্ষকদের সঙ্গে সরাসরি শুনানির ব্যবস্থা করেছেন এবং তার তত্ত্বাবধানে রক্ষিত অভিযোগ বাক্সে আগত অভিযোগ সমাধান করার চেষ্টা চালান।
দুদকের পক্ষ থেকে অবৈধভাবে কোচিং ব্যবসায় জড়িত যে ২৫ জন শিক্ষকের তালিকা দেওয়া হয়েছিল তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে মহাপরিচালক জানান, তাদের শাস্তিমূলকভাবে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদের ঢাকায় আসার কোনো আবেদন বিবেচনায় আনা হবে না।
দুদক টিমের পক্ষ থেকে দুর্নীতি রোধে মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও যেকোনো দুর্নীতির অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে দুদককে জানানোর অনুরোধ করা হয়।
অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান অনিয়ম ও দুর্নীতি ঠেকাতে দুদকের এ অভিযান। এ সেক্টর দুর্নীতিমুক্ত হলে তার প্রভাব পড়বে সব সেক্টরে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএম/এমজেএফ