মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক সফিউল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনালী ব্যাংক নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ও সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের এমএলএসএস নূর হোসেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও গ্রাম পুলিশের ভাতার সরকারি অংশের মোট ৯ লাখ ৪ হাজার ৪৪৫ টাকার দু’টি চেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে গ্রহণ করে নূর হোসেন।
পরবর্তীতে চেক দু’টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা না দিয়ে নূর হোসেন সোনালী ব্যাংক সোনাইমুড়ী শাখার কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের সহযোগিতায় ভুয়া ও জাল হিসাব খুলে চেকগুলো নগদায়ন করে সব টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় তৎকালীন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. আব্দুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় দুর্নীতি কমন কমিশনকে (দুদক)। তদন্ত শেষে দুদক নোয়াখালীর উপ-পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং একইসঙ্গে ৯ লাখ টাকা করে মোট ১৮ লাখ টাকা
জরিমানা করেন।
দুদক নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮
আরএ