বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শরণখোলা উপজেলা ঘুরে নির্মাণ সম্পন্ন অনেক ঘর দেখা যায়। ঘর পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, যেসব দরিদ্র মানুষদের ১ থেকে ১০ শতাংশ জমি আছে, কিন্তু থাকার মতো মানসম্মত ঘর নেই, তাদের এক লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫৫ বর্গফুট আয়তনের সেমি পাকা ঘর করে দেওয়া হচ্ছে। ঘরের সঙ্গে স্বাস্থ্য সম্মত টয়েলেটও তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হত দরিদ্রদের তালিকাভুক্তদের এ ঘর দেওয়া হয়েছে।
শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা গ্রামে সরকারি ঘরপ্রাপ্ত হাওয়া বেগম বাংলানিউজকে বলেন, সিডরে আমাদের ঘরবাড়ি বিদ্ধস্ত হয়ে যায়। পরে অর্থাভাবে ভালো ঘর তৈরি করতে পারেনি। ছাপড়া ঘরে থাকতাম। ঝড়-বৃষ্টি হলেই পানিতে ভেসে যেতো ঘরের মেঝে। এখন সরকার আমাদের ঘর দিয়েছে। একই সঙ্গে পাকা টয়লেটও তৈরি করে দিয়েছে। সরকারের দেওয়া ঘর পেয়ে স্বামী-সন্তান নিয়ে পাকা ঘরে থাকার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
ঘরপ্রাপ্ত রত্মা আক্তার বলেন, ছেলে ও ছেলের বউ নিয়ে ছাপড়া ঘরের একপাশে থাকতাম। অন্যপাশে নিজের পোশা দুটি গরু রাখতাম। গন্ধে ঘুমোতে কস্ট হতো। এখন সরকারি পাকা ঘরে থাকি। আর গরু দুটোও খুব ভাল আছে এখন।
স্থানীয় রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন রুমী বাংলানিউজকে বলেন, ইউনিয়নে যাদের জমি আছে কিন্তু থাকার মতো ভাল ঘর নেই, তাদের তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। বিনামূল্যে সেমি পাকা ঘর পেয়ে দরিদ্ররা খুশি হয়েছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস জানান, ‘জমি আছে ঘর নাই’ প্রকল্পের আওতায় শরণখোলায় চারটি ইউনিয়ন থেকে প্রথম পর্যায়ে ৯১টি পরিবারের তালিকা পাঠানো হয়েছিল। তাতে ৯১টি ঘর অনুমোদন হয়ে নির্মাণের জন্য ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এক লাখ টাকা করে যে বাজেট সরকার থেকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়েই নির্দিষ্ট ডিজাইনে তৈরি করা হয়েছে শরণখোলা উপজেলার ঘরগুলো। এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৮৫টি ঘর নির্মাণ কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার ৮৭১টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯১৪টি ঘরের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২ হাজার ৯৫৭টি ঘর নির্মাণাধীন রয়েছে। যার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এসআরএস