বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
সংসদে মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যামতে, জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি অনুযায়ী ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের হজে পাঠানো শুরু হয়।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী বলেছেন, হজ নিশ্চিত করতে এজেন্সিগুলোর অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর তদারকির কারণে সুষ্ঠুভাবে এবার হজ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। একই সঙ্গে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরবে যাওয়া করা হাজিরা নির্বিঘ্নে হজ পালন করতে পেরেছেন।
মন্ত্রী বলেন, তাদের (বেসরকারকারি হাজি) বিমান ভাড়ার টাকা ব্যাংকে জমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। ফলে ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সব হজযাত্রীই হতে যেতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, হজ অফিস ও হাবের কঠোর তদারকির পরও চলতি বছরে হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত যেসব হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে এবং পাওয়া যাবে তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতিমালার ৩২(২) অনুচ্ছেদে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
এসব শাস্তির মধ্যে হজ ও ওমরাহ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল, জামানত বাজেয়াপ্ত, অর্থদণ্ড ও জরিমানা এবং তিরস্কার ও সতর্ক করা। একইসঙ্গে পর পর তিন বছর কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে তিরস্কার ও সতর্ক করে নোর্টিশ দেওয়া হলে সংশ্লিস্ট হজ ও ওমরাহ এজেন্সির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কোনো ধরনের কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই লাইসেন্স বাতিল করা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আগামীতে হজ ব্যবস্থাপনা সুন্দর-সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে জাতীয় হজ ও ওমরাহ নীতি এবং হজ প্যাকেজকে আরো যুগোপযোগী করা হবে। এছাড়া হাজিদের হজ নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিল পাস
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এসএম/এএ