বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।
‘রোহিঙ্গা সংকট: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা’-শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (আইক্ল্যাডস)।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রি. জে. (অব.) শাফায়াত আহমেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের প্রতিবেশী। একদিন রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হয়ে যাবে। তবে ভৌগলিক কারণেই প্রতিবেশী দেশকে কখনো দূরে ঠেলে দেওয়া যাবে না। এটা মাথায় রেখেই আমরা এ সংকট সমাধানে এগিয়ে চলেছি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সরকার দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পর্যন্ত নেওয়া আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ সঠিক বলে প্রমাণিত হয়েছে।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে ব্রি. জে. (অব.) শাফায়াত আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে আলাদা একটি প্রশাসনিক এলাকা গড়ে তুলতে হবে। এই এলাকার তত্ত্ববধানে থাকবে জাতিসংঘ। তাহলেই রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমর্থন আদায়ের জন্য বাংলাদেশকে ব্যাপক ক্যাম্পেইন চালানোর সুপারিশ করেন শাফায়াত আহমেদ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের কান্ট্রি ডিরেক্টর মিয়া সেপ্পো বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘ কাজ করছে। এটা মিয়ানমারের সমস্যা। বাংলাদেশে নয়। তাই এ সংকটের সমাধান মূলত মিয়ানমারেই। এছাড়া এ সংকট রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সঠিক পথেই এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়েই প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে এ সংকট সমাধান করতে হবে।
সেমিনারে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ডেভরিম অজতুর্ক, ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনোই প্রিফনটেইন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম, আইক্ল্যাডসের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারটি সঞ্চলনা করেন মিথিলা ফারজানা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
টিআর/এএ