বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দশম জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল-২০১৮ এটা যে গুরুত্বপূর্ণ? ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে মতামত দিয়েছেন।
‘দেখলাম কয়েকজন স্বনামধন্য এডিটর, সাংবাদিক বা সমাজের বিজ্ঞজন তারা এটার বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছেন। তারা শুধু তাদের কণ্ঠরোধ হলো কিনা সেটাই দেখে। কই কণ্ঠ তো তাদের রোধ হয়নি, কণ্ঠ আছে বলেই তো তারা মতামত দিচ্ছেন। কণ্ঠরোধ করলে তো মতামত দেবার মতো ক্ষমতা থাকতো না। ’
সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, আর কণ্ঠরোধটা যে কি সেটা মার্শাল ‘ল’ যখন ছিল তখন বুঝেছে। এদেশে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীরা ছিল অবশ্য যারা তাদের পদলেহন করেছে তোষামদি করেছে তাদের অসুবিধা হয়নি। কিন্তু যারা তাদের অন্যায় কথা বলতে গেছে তাদের অসুবিধা হয়েছে।
‘বেশি দূর যেতে হবে না ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের আমলে কিভাবে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হয়েছে সেটা তারা ভুলে গেছেন। এখন তারা ডিজিটাল আইন করার পরেই তারা তাদের কণ্ঠরোধের কথা বললেন। কণ্ঠরোধ কোথায়?’
তিনি বলেন, এই দেশে একটা টেলিভিশন ছিলো। কোন সরকার সাহস পেয়েছে এই টেলিভিশনকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে? কোনো সরকারই সাহস পায়নি। আমরা দিয়েছি। এখন মধ্য রাত পর্যন্ত টিভিতে টক শো হয়, সেখানে যা খুশি আলোচনা করতে পারছে। কেউ যেয়ে তো তাদের গলা চেপে ধরছে না? কেউ তো তাদের বাঁধা দেয়নি। শুধু তাদের সাংবাদিকতার বিষয়টাই তারা দেখছেন।
‘সাংবাদিকতা হবে গঠনমূলক। সাংবাদিকতা থাকবে দায়িত্বশীল, সমাজের জন্য দেশের জন্য এবং মানুষের জন্য। নিশ্চয়ই সাংবাদিকতা সংঘাতের জন্য হবে না। সাংবাদিকতা দেশের অকল্যাণের জন্য হবে না। দেশের ভাবমুর্তি নষ্টের জন্য হবে না,’ বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন সাংবাদিকতা থাকতে হবে, যা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। মানুষের ভেতরে আত্মবিশ্বাস আনবে, মানুষের ভেতরে সন্দেহের সৃষ্টি করবে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করবে না। মানুষের মধ্য সংঘাত সৃষ্টি করবে না। একটা সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদকে উসকে দেবে না। সেটাই তো হওয়া উচিত।
‘সাংবাদিকতা সমাজকে সঠিকভাবে পরিচালনার দিকেই নিয়ে যাবে। আমরা তো সে রকমই সাংবাদিকতাই চাই। এই বিল নিয়ে সাংবাদিকদের এতো উদ্বেগ কেন?’ প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮/আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা
এসএম/এএ