সোমবার (০১ অক্টোবর) নবীগঞ্জ খেয়াঘাট এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাট থেকে নদী পার হতে একটি ভাঙাচুরা বাঁশের সাঁকো বেয়ে যাত্রীরা লাফিয়ে লাফিয়ে ট্রলার উঠছে। ঘাট থেকে কোনো নিয়ম না মেনে ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রীবোঝাই করে ঝুঁকি নিয়ে নদী হচ্ছে ট্রলার।
যাত্রীদের অভিযোগ, নদী পার হতে আসা যাত্রীদের জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে পার হতে হচ্ছে। মধ্য বয়সীরা রাতে নদী পার হলেও, অসুস্থ ও বয়স্কদের নিয়ে পড়তে হয় বিপদে। আবার ছেড়ে যাওয়া ট্রলারে উঠার জন্য কয়েকটি ট্রলার ডিঙ্গিয়ে উঠতে হয়। এ সময় পরনের কাপড় ছিড়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।
এ ঘাট দিয়ে নদী পার হওয়া মেহেদী হাসান জানান, কি ভয়ঙ্কর অবস্থা। একে তো সাঁকোটি ভাঙা, অনেক কষ্টে পারি দিয়ে ট্রলার পর্যন্ত আসলাম। এরপর আবার কয়েকটি ট্রলার ডিঙ্গিয়ে ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া সিরিয়ালের ট্রলারে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে নদী পার হয়েছি।
ঘাটটি ঠিক করতে সংসদ সদস্যসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেনও তিনি বলেও জানান মেহেদী।
নবীগঞ্জ খেয়াঘাটের মাঝি আকবর মিয়া জানান, নদী পার হতে আসা মানুষজন পানিতে পড়তে পড়তে তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। এটা ঠিক করবো কবে কে জানে? বয়স্কদের আমরা ধইরা-ধইরা পার কইরা দেই তবে প্রতিদিনই নৌকার উঠার সময় মানুষ ব্যাথা পায়। রাতে তো ঘাটে কিছু দেখাই যায় না। এখানে তো বাতি নাই।
এদিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে কচুরিপানা। জোয়ারের পানির সঙ্গে ভেসে আসা এসব কচুরিপানা আটকে যাচ্ছে ঘাটে আর তাতেই ঝুঁকিতে পড়ছে নৌকা, ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযান। বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।
সেন্ট্রাল ঘাটের নৌকার মাঝি আব্দুল আহাদ জানান, কচুরিপানার কারণে অনেক সময় নৌকা চালাতে গিয়ে এক নৌকার সঙ্গে আরেক নৌকার ধাক্কা লেগে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ভারতের বন্যার পানি ভাটার টানে শীতলক্ষ্যা দিয়ে নেমে আসছে। যে কারণে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানাও আসছে। এই কচুরিপানার পরিমাণ এতো বেশি যে সরিয়েও লাভ হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৮
আরআইএস/