সোমবার (০১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ের শাপলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে সোমবার দুপুরে নাজমুলের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী (কলেজছাত্রী) কুষ্টিয়া মডেল থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) (সংশোধন) আইন, ২০১৩ এর ৫৭ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চার বছর আগে নাজমুলের সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে মেয়েটি তাকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের দেড় বছর পর মেয়েটি জানতে পারেন যে নাজমুল বিবাহিত, তার দু’টি সন্তান রয়েছে। এরপর মেয়েটি তার বাবার বাড়ি চলে যান। গত ২৬ জুন নাজমুল ওই বাড়ি গিয়ে ভুল স্বীকার করে মেয়েটিকে নিয়ে আসেন। সেদিনই মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া সাতবাড়ীয়া মাঠে নিয়ে জোর করে তার চুল কেটে দেন এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন।
অনার্স প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী বলেন, আমার স্বামী আমার মাথার চুল কেটে দেওয়ার পর আমাকে ও আমার পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি দেন এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর নাজমুল ৫ সেপ্টেম্বর দুপুর সোয়া ২টায় আমার ফেসবুক আইডি থেকে আমার খালাতো ভাই সীমান্ত বিশ্বাসের ফেসবুক মেসেঞ্জারে এবং পরের দিন ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ১০ মিনিটে আমার বোনের স্বামী দেবাশীষ বিশ্বাসের ফেসবুক মেসেঞ্জারে আমাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পাঠান। এর প্রতিবাদ করলে নাজমুল আমাকে ও আমার পরিবারকে মোবাইল ফোনে কল করে এবং মেসেজ দিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্ধ্যায় আসামি নাজমুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৮
এসআই