মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সোমবার (১ অক্টোবর) ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির আয়োজনে 'মহাত্মা গান্ধী এবং বিশ্ব শান্তি' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। সন্ধ্যায় রাজধানীর সিরডাপে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক আবুল মাকসুদ।
মন্ত্রী বলেন, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তখন সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ সারা বিশ্বের গণতন্ত্রমনা জনগণকে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের পাশে দাঁড় করিয়েছিলেন। তার সফল কূটনীতির ফলে বিশ্ব বিবেক বাংলাদেশের স্বাধীণতাকে সমর্থন করে। সেই ভারতের জাতির জনক হচ্ছেন মহাত্মা গান্ধী। তার অহিংস আদর্শ শুধু ভারতবর্ষ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি কেড়েছে।
আবুল মাকসুদ বলেন, মহাত্মা গান্ধী ছিলেন একজন পরিপূর্ণ জাতীয়তাবাদী মানুষ। তিনি মনে প্রাণে ও ধ্যান-জ্ঞানে ভারতের ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন। কোন ধরনের রাজনৈতিক সংকীর্ণতা তাকে স্পর্শ করতে পারেনি। ক্ষুদ্র রাজনীতিক স্বার্থে তিনি কখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। বিশাল হৃদয় ও চিন্তার অধিকারী এই বিরল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রকৃত অর্থেই ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী ছিলেন। হিন্দু ধর্মের চর্চা করলেও তিনি খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, ইসলামসহ অন্যান্য ধর্ম এবং রীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন। তিনি ছিলেন অহিংস আদর্শে বিশ্বাসী, যা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। এজন্য ২০০৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় তার জন্মদিন ২রা অক্টোবরকে 'আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস' হিসেবে ঘোষণা করে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সভাপতি এমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ.কে আজাদ চৌধুরী। এসময় বিএআরআইএ'র চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ, ভারতীয় হাইকমিশনের পলিটিক্যাল সেক্রেটারী নবনিতা চক্রবর্তী, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুশারী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা; অক্টোবর ০১, ২০১৮
এইচএমএস/এমকেএম