শুক্রবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শশীধরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত মিজান ওই গ্রামের মৃত আবুল মালিথার ছেলে।
আহতদের মধ্যে শুকুর মালিথা (৪০), সম্রাগ মালিথা (৩৫), সীমাজুল (৩৩), ইমাদুল (৩০), মিরাজ (৩৫), সাবু (৩০) ও অন্তর (২৮) কুষ্টিয়া হাসপাতালে এবং সজিব (২৫) দৌলতপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, শশীধরপুর গ্রামের আবু আফফান ও গনির সঙ্গে একই গ্রামের মিজানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলাও চলছে। নিহত মিজান আদালত থেকে তার পক্ষে রায় পেয়েছেন। আদালতের রায় পাওয়ার পর শুক্রবার দুপুরে আফফান ও গনির দখলে থাকা জমি মিজান ও তার লোকজন দখল নিতে গেলে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয়পক্ষ একে অপরের ওপর হামলা ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হলে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর ও কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজান কুষ্টিয়া হাসপাতালে মারা যান।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ দারা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িতের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
জিপি