তুরস্কে অনুষ্ঠিত এশিয়ান পার্লামেন্টারি এসেম্বলি’র (এপিএ) উইমেন পার্লামেন্টারিয়ান রেজুলেশনের ওপর মুক্ত আলোচনায় এ কথা বলেন ডেপুটি স্পিকার। শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এশিয়ান পার্লামেন্টারি এসেম্বলিতে অংশ নিতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চার সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল তুরস্কে অবস্থান করছেন। শুক্রবার এসেম্বলির প্রথম এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এবং সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এপিএ উইমেন পার্লামেন্টারিয়ানের রেজুলেশনের ওপর মুক্ত আলোচনায় সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী প্রেক্ষাপট ও প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরে ডেপুটি স্পিকার বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা সকলেই নারী।
এপিএভুক্ত দেশগুলো নারীর উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারীদের অধিকার আদায়ে দেশের সংসদগুলো অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যাতে সংসদ সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে আইনগত সংস্কার এবং আইনানুগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে এর মাধ্যমে লিঙ্গ বৈষম্য দূর হয়।
সংবিধানের ৯০(প) ধারা উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যদি তাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, জাত-বৈষম্যের কোনো ধারা সংযুক্ত করে। তবে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে।
গত ৩ অক্টোবর ডেপুটি স্পিকারের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করে। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- সংসদ সদস্য জিল্লুল হাকিম, সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট) খান মো. ইলিয়াস হোসেন ও উপ-সচিব (আইপিএ) মো. আবু আল হেলাল। আগামী ৮ অক্টোবর প্রতিনিধিদলের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এসএম/ওএইচ/