শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ভারতীয় কুশাহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা গোপনে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৯৩৯/৩ এস পিলারের পাশে ১৭ নম্বর কাঁতারের গেট দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওযা হয়।
এরআগে শুক্রবার ভোরে ফুলবাড়ী উপজেলার বিদ্যাবাগিশ ধারিয়ার পাঠ সীমান্তের আন্তর্জাতিক পিলার ৯৩৮/১১ এস পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পাচার করে দেয় দুই দেশের দালাল চক্র।
সীমান্তবাসী সূত্রে জানা যায়, ফুলবাড়ী উপজেলার ঠোস বিদ্যাবাগিশ সীমান্ত এলাকার মজিদুল ইসলাম ভারতে ভালো কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হোলখানা ইউনিয়নের উত্তর কাগজীপাড়া গ্রামের রিয়াজুল ইসলামের স্ত্রী খুশি বেগম (২৫) ও তাদের শিশু সন্তান রিপনকে (৬) ভারতে পাচার করে দেয়।
এ সময় ভারতীয় ৩৮ বিএসএফ কুর্শাহাট ক্যাম্পের সদস্যরা খুশি বেগম ও তার শিশু সন্তানকে আটক করলে রিয়াজুল পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার ধারিয়ারপাঠ সীমান্তে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ৯৩৮ এর সাব পিলার ৩ এসের পাশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেয় কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আব্দুল কাদের ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেয় কোচবিহার জেলার দিনহাটা থানার অধীনে কুর্শাহাট ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর প্রেমানন্দ কুমার।
বৈঠকে বিজিবি প্রতিবাদ জানালে আটক মা ও শিশুকে ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানায় বিএসএফ। পরে তীব্র প্রতিবাদের মুখে আটকদের হস্তান্তরের চেষ্টা করবে বলে আশ্বাস দেয় বিএসএফ।
কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে জানান, বিএসএফের কাছে আটক মা-শিশুকে বিকেলে ভারতীয় কাঁটাতারের ১৭ নম্বর গেট দিয়ে গোপনে ছেড়ে দিয়েছে বিএসএফ।
লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন গংগারহাট ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান জানান, মা ও শিশু তাদের হেফাজতে রয়েছে। পরবর্তীতে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এফইএস/ওএইচ/