ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

প্রবারণা পূর্ণিমায় রামুতে এবারও ভাসবে সাত কল্পজাহাজ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৮
প্রবারণা পূর্ণিমায় রামুতে এবারও ভাসবে সাত কল্পজাহাজ  নদীতে ভাসানো হয়েছে কল্পজাহাজ (ফাইল ছবি)

কক্সবাজার: বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা। অন্যবারের মতো এবছরও প্রবারণা উপলক্ষে কক্সবাজারের রামু উপজেলার বাঁকখালী নদীতে জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ ভাসানো উৎসব। 

আগামী ২৫ অক্টোবর দুপুরে চেরাংঘাটাস্থ বাঁকখালী নদীতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদ শুভ প্রবারণা উপলক্ষে ফানুস উত্তোলন ও জাহাজ ভাসানো উৎসবের আয়োজন করছে।

এদিকে এ উৎসবকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারে রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও সীমা বিহারের সহকারী পরিচালক প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কেতন বড়ুয়া, তাপস বড়ুয়া,বিপুল বড়ুয়া আব্বু, পূর্ণধন বড়ুয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

রামু উপজেলা বৌদ্ধ ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু জানান, ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবকে প্রতি বছরের মতো জাঁকজমক এবং উৎসবমুখর পরিবেশে সফলভাবে সম্পন্ন করতে সভায় নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এ বছর উৎসবে পূর্ব রাজারকুল, হাজারীকুল, পূর্ব মেরংলোয়া, হাইটুপী রাখাইন পাড়া, শ্রীকুল-হাইটুপী বড়ুয়া পাড়া, দ্বীপ-শ্রীকুল এবং মেরংলোয়া গ্রামসহ মোট সাত গ্রাম থেকে সাতটি কল্পজাহাজ নদীতে ভাসানো হবে।  

ইতোমধ্যে গ্রামগুলোতে জাহাজ নির্মাণের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। আমরা আশা করছি, নিরাপদ, সৌহাদ্যপূর্ণ এবং উৎসবমুখর পরিবেশে জাতিধর্ম নির্বিশেষে সবাই এবার উৎসবে অংশ নেবে।
রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ পন্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের বলেন, প্রায় ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী জাহাজ ভাসানো উৎসব শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নয়, যুগ যুগ ধরে হাজার হাজার শিশু-কিশোর ও আবাল-বৃদ্ধ-বণিতার মধ্যে নির্মল আনন্দ ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় করে আসছে এ উৎসব। আমরা চাই এ ঐতিহ্য হাজার বছর টিকে থাকুক।  

উল্লেখ্য, প্রায় ২শ’ বছর ধরে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসলেও ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এ উৎসব উদযাপন থেকে বিরত থাকেন রামুর বৌদ্ধ সম্প্রদায়। উৎসবের ওই অর্থ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।