রোববার (৭ অক্টোবর) থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন অভয়ায়শ্রম এলাকায় মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুদ, পরিবহন ও সরবরাহ করা যাবে না।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন নিবন্ধিত ইলিশ ধরা জেলে রয়েছে।
সদরের আনন্দ বাজার এলাকার জেলে ফজলুর রহমান ও মানিক প্রধানিয়া বাংলানিউজকে জানান, তারা বছরের সব সময়ই নদীতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ আহরণ করেন। সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ সময় (২২ দিন) তারা মাছ আহরণ করবেন না। কিন্তু তাদের ২২ দিনের জন্য যে ২০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তা বাড়ানো প্রয়োজন।
জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক দেওয়ান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জেলেদের অভয়াশ্রমকালীন ইলিশ আহরণ না করার জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একাধিক সভা করেছি। নদী থেকে জেলেদের নৌকাগুলো তুলে রাখতে বলা হয়েছে। ইলিশ এ সময়ে মিঠা পানিতে নিরাপদ স্থান হিসেবে ডিম ছাড়তে আসে। একটি ইলিশ কমপক্ষে ২২ লাখ ডিম ছাড়ে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপদে ডিম ছাড়া ও জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জেলা ট্রাস্কফোর্স সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। আর এ ২২ দিন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, জেলা মৎস্য বিভাগ, উপজেলা প্রশাসন ২৪ ঘণ্টা রুটিন অনুযায়ী নদীতে দায়িত্ব পালন করবে। জেলা মৎস্য বিভাগ ইলিশ আহরণ থেকে বিরত থাকার জন্য জেলে পাড়াগুলোতে মাইকিং করেছে।
তিনি আরো জানান, ২২ দিনের জন্য জেলেদের খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। তারপরেও যদি কোনো জেলে আইন অমান্য করে মাছ আহরণ করেন। তাহলে তাদের মৎস্য আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা ও সাজা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
আরএ