ঢাকা, শনিবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নয়ন মেলা

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৮
নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাচ্ছে উন্নয়ন মেলা সিরাজগঞ্জে উন্নয়ন মেলা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের উন্নয়ন মেলায় বেড়াতে এসে অনেক কিছুই জানতে পারলেন ঢাকার ভাওয়াল ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী বৃষ্টি। দেশের জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি নিজের জেলা সিরাজগঞ্জও যে কতটা এগিয়ে গেছে তা মেলায় না এলে সেগুলো অজানা থেকে যেত বৃষ্টির।

শনিবার (০৬ অক্টোবর) সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে আয়োজিত চতুর্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলার বিভিন্ন স্টলে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন বৃষ্টি ও তার বান্ধবী সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী রতি ইসলাম। বিভিন্ন উন্নয়ন তথ্য সম্বলিত স্টিকার, লিফলেট ও বই সংগ্রহ করছিলেন তারা।

এ সময় বৃষ্টি ও রতি বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির এমন চিত্র দেখলেই প্রাণটা ভরে যায়। নদীভাঙন আতঙ্কে যে মানুষগুলোর প্রতিদিন ঘুম ভাঙতো সেই তীরবর্তী মানুষগুলো আজ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছে। নদী আর ভাঙবে না। অধিকাংশ এলাকাতেই তীর সংরক্ষণ বাঁধ হয়ে গেছে। সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্য দিয়ে ফোরলেন মহাসড়ক হচ্ছে, মেডিকেল কলেজ নির্মাণ কাজ চলছে। আরো অসংখ্য উন্নয়নের কথা জানলাম এ মেলায় এসে।  

মেলায় ঘুরতে আসা পুলিশ লাইন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃদুল হাসান রাকিব, আলমগীর, ইউনুছ আলী, মামুন রেজা ও রিপন আলী বাংলানিউজকে বলেন, মনে হচ্ছে আমরা খুব শিগগিরই জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলার দেখতে পারবো। সরকারের প্রতিটা বিভাগের উন্নয়ন চিত্র দেখে আমাদের খুব ভাল লাগছে।  

আরো কথা হয় পিডিবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সিয়াম হোসেন, বেনজির আহম্মেদ, আজিজুল হক জিদান, জাহানা আরা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী রিমি, রুপন্তী, ইয়াছমিনের সঙ্গে। তারা জানায়, আমরা টেলিভিশনে উন্নয়নের কথা শুনি। মেলায় এসে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। প্রতিটি অফিসের উন্নয়ন তথ্য সম্বলিত স্টিকার, লিফলেট সংগ্রহ করেছি। বাসায় নিয়ে এগুলো পড়বো এবং বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনদেরও উন্নয়নের চিত্র দেখাবো।  

তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলায় দর্শণার্থীদের বেশিরভাগই দেখা গেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। বিশেষ করে শুক্রবার থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে ওঠে উন্নয়ন মেলার বিভিন্ন স্টল। উন্নয়নের তথ্য সম্বলিত পোস্টার, লিফলেট সংগ্রহে ব্যস্ত দেখা গেছে এসব শিক্ষার্থীদের।

সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজল-এ-খোদা লিটন বাংলানিউজকে জানান, উন্নয়ন মেলার তিনদিন ধরেই কিশোর ও তরুণদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। এদের মধ্যে জানা ও শেখার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। কিভাবে একটি দরিদ্র দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে উন্নয়ন মেলা থেকে তারা জানতে পারছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রজেক্টরের মাধ্যমে নদীভাঙন রোধে পাউবোর বিভিন্ন বাধের চিত্র প্রদর্শন করছি। সেখানে প্রচুর শিক্ষার্থীরা ভিড় জমাচ্ছে। এটা খুবই ভাল লক্ষণ।  

জেলা তথ্য অফিসার মো. আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, স্কুল কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল তিন দিনের উন্নয়ন মেলার আকর্ষণীয় দিক। জেলা তথ্য অফিসের স্টল থেকে এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে উন্নয়ন তথ্যের ফোল্ডার বিতরণ করা হয়েছে।  

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারের উন্নয়ন মেলা নতুন প্রজন্মের জন্য উৎসর্গ করেছেন। সিরাজগঞ্জের মেলাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীরা অংশ নিয়েছে। এরা সরকারের উন্নয়ন দেখে উৎসাহিত হবে এবং নিজেদের সেভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।