শনিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। নিহত সাথী রাজবাড়ির পাংসা থানার খামারডাঙ্গা এলাকার সালমান হোসেনের স্ত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানান, এক বছর আগে রাজবাড়ির পাংসা থানার খামারডাঙ্গা এলাকার মো. সাত্তারের ছেলে সালমানের সঙ্গে যশোর সদর থানার অভয়নগর এলাকার নূর ইসলামের মেয়ে শামীমা আক্তার সাথীর প্রেমের সর্ম্পূক করে বিয়ে হয়। শামীমা কালিয়াকৈর উপজেলার হিজলহাটি এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করতো। সালমান গ্রামের বাড়ি থাকতো। মাঝে মাঝে তিনি কালিয়াকৈরে তার স্ত্রী শামীমার কাছে আসতেন।
শুক্রবার (৫ অক্টোবর) রাতে সালমান তার স্ত্রী শামীমার কাছে আসেন এবং রাতে তার কাছে ছিল। পরদিন সকালে পাশের রুমের হাসি আক্তার নামে একজন শামীমাকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে তাকে বিবস্ত্র ও মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের গলায় দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নূর ইসলাম বাদী হয়ে নিহতের স্বামী সালমানের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬ ২০১৮
আরএস/জিপি