শনিবার (০৬ অক্টোবর) রাত ১২টা এক মিনিট থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এরফলে রোববার (৭ থেকে ২৮ অক্টোবর) পর্যন্ত উপকূলীয় জলসীমায় ইলিশ আহরণ, জাল ফেলা, বিক্রি, সংরক্ষণ ও মজুদ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ১ থেকে ২ বছরের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার বিধানও জারি করা হয়েছে।
এদিকে, মাছ ধরা বন্ধ হয়ে পড়ায় জেলার ২ লাখেরও অধিক জেলে বেকার হয়ে পড়েছে। তবে বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে মৎস্য বিভাগ জেলেদের জন্য ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এ চাল সবার ভাগ্যে জুটবে না। কারণ, জেলার এক লাখ ৩২ হাজার জেলের মধ্যে বরাদ্দ এসেছে মাত্র ৮৮ হাজার জেলের। এতে ৪৪ হাজার জেলে ওই চাল থেকে বঞ্চিত হবে।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই মাস আগে ইলিশের ভরা মৌসুমে থাকলেও তখন জালে ইলিশ ধরা পড়েনি। গত কয়েকদিন জালে ইলিশ ধরা পড়লেও নিষেধাজ্ঞার সময় চলে আসায় হতাশা দেখা দিয়েছে জেলেদের মধ্যে।
মৎস্য বিভাগ জানায়, জেলায় দুই লাখের বেশি মানুষ ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। তবে জেলার নিবন্ধিত ১ লাখ ৩২ হাজার ২৬০ জন জেলের মধ্য থেকে ৮৮ হাজার ১১১ জন জেলের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে চাল বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে জেলেরা যাতে ইলিশ শিকার থেকে এ কয়দিন বিরত থাকে সেজন্য মৎস্য বিভাগ ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জেলেদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা এবং নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছে।
ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আহসান হাবিব খান ও সদর সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ২১ দিনে অন্তত ৭০ ভাগ মা মাছ রক্ষা হবে বলে আমরা মনে করছি। এতে করে এ বছর ভোলা জেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ সংগ্রহের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৮
এনটি