ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মাঘ ১৪৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দুপুরে সভার পরে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সিদ্ধান্ত

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
দুপুরে সভার পরে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সিদ্ধান্ত সাতরাস্তা এলাকায় টার্মিনালে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ট্রাক-ছবি-ডি এইচ বাদল

ঢাকা: জাতীয় সংসদে পাস করা সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন। রোববার (৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে এই ধর্মঘট। মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পরিবহন শ্রমিক নেতারা

মঙ্গলবার ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে রাজধানীর সাতরাস্তা এলাকায় ট্রাক টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্যই জানা গেছে।  

বাংলানিউজকে একাধিক পরিবহন শ্রমিক বলেন, রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি।

আমাদের মূল বক্তব্য হলো বাংলাদেশের জন্য নতুন পাস করা আইনটি প্রযোজ্য নয়। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষ এখনও রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সচেতন নয়। তারা নিয়ম না মেনে রাস্তায় চলাচল করে। এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি না হলে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে না। তাছাড়া ড্রাইভারদেরও দোষ রয়েছে। সেগুলো সংশোধনের ব্যাপারে সরকার কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু এভাবে শাস্তির বিধান করতে পারে না।

দুপুর ২টায় সচিবালয়ে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্রাক ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি তালুকদার মোহাম্মদ মনির। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবি সরকারের কাছে পেশ করেছি। সরকার আমাদের দাবির পক্ষে আশ্বাস প্রদান করেছেন এবং সচিবালয়ে মন্ত্রীর সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি যেহেতু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সেহেতু সভার পরে আমরা কর্মবিরতি প্রত্যাখ্যান হবে কিনা সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।

পরিবহন শ্রমিকদের ৭ দফা দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ করা যাবে না; ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল করতে হবে; তাছাড়া জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনায় গ্রেফতার করা টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্যসহ সব মালিক ও শ্রমিকদের মুক্তি দিতে হবে; সহজ শর্তে ভারী যানবাহন চালককে ভারী লাইসেন্স দিতে হবে; পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে হবে; ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করতে হবে; গাড়ির মডেল বাতিল করতে হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সারাদেশে ওভারলোডিং বন্ধ করতে হবে; সর্বোপরি রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট স্থান ব্যবহার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির কাজ চালাতে হবে।

** 'আইন সংশোধন না হলে ট্রাক চলবে না'

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।