শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় উপজেলার বগী গ্রামের ভাঙন কবলিত বাঁধের ওপর দাঁড়িয়ে এলাকাবাসী গণ আযান দেন। পরে ভাঙন রোধে মোনাজাত ও দোয়া পরিচালনা করেন ক্বারী মো. শহিদুল ইসলাম।
মোনাজাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী, সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ৩ শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
বলেশ্বর নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বগী এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় ২শ’ মিটার ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়া স্থান থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে বগী ও চালিতাবুনিয়া গ্রামের অন্তত ২শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ভেসে যায় এসব গ্রামের পুকুর, মৎস্য ঘের ও পানি ঢুকে নালা জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
এদিকে শুক্রবার সকালে বাঁধ নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (সিইআইপি) বস্তায় মাটি ভরে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি ভাঙন ঠেকাতে কনক্রিটের ব্লক ব্যবহার করা, যাতে করে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধ হয়।
সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, চারদিন পর ভাঙনরোধে কাজ শুরু হয়েছে। তারা মাটির বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কনক্রিটের ব্লক না দিলে স্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, পানি কমতে শুরু করায় শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় বস্তায় মাটি ভরে ভাঙন কবলিত স্থানে ফেলা হচ্ছে। যাতে ওই স্থান থেকে লোকালয়ে পানি না ঢুকতে পারে। স্থায়ীভাবে বাঁধ রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
আরএ