এবারে বরিশাল ও জেলার ১০ উপজেলা মিলিয়ে ৬শ' মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আর দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে প্রশাসন ও পূজা কমিটিগুলোর পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি।
তবে গতবছরের তুলনায় এবার দুর্গোৎসবে ব্যয় বাড়ায় হিমশিম খেতে হলেও আয়োজনে কমতি রাখছেন না আয়োজকরা। বাহারি রঙের আলোকসজ্জা আর বর্ণালি সাজে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ ও এর আশপাশের এলাকা।
বরিশালের বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, বরিশালে বেশ দ্রুতগতিতে চলছে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির কাজ। দম ফেলার ফুরসত নেই কারিগর থেকে শুরু করে তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলোর।
মণ্ডপে মণ্ডপে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবকরাও। তবে এবারে বরিশাল মহানগরের মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা ও সাজসজ্জার কাজে অনেকটাই প্রতিযোগিতার চিত্র দেখা গেছে। আয়োজকরা বাংলানিউজকে জানান, ২০১৩ সালের পর এবারে দীর্ঘ পাঁচবছর পর শারদ সম্মাননার আয়োজন করেছে পূজার ভ্যান নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটি মণ্ডপের আয়োজনের উপর পুরস্কার দিয়ে থাকে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে। পাঁচবছর পর এই আয়োজন করায় উৎফুল্লুতা দেখা গেছে মন্দির কমিটিগুলোর মধ্যে।
শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কিশোর কুমার দে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এখানে ৬০ ফুটের অধিক প্রস্থ নিয়ে সব থেকে বড় তোরণ তৈরি করা হচ্ছে। বরিশাল মহানগরের মধ্যে যা সব থেকে বড় বলেই মনে হচ্ছে। আলোকসজ্জায়ও থাকছে ভিন্নতা।
শংকর মঠেই প্রতিমা তৈরি কাজ করছেন সুমন পাল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ১০টি প্রতিমার কাজ করছি। যার সবগুলোরই কাজ প্রায় শেষের দিকে।
বরিশাল মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু বাংলানিউজকে জানান, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বরিশালের সাজসজ্জার কাজটা এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে অন্যবারের থেকে একটু ভিন্নতা থাকে। সনাতন ধর্মালম্বীদের উৎসব সার্বজনীন এবং আনন্দ, উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভালোভাবে শেষ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
এমএস/এএটি