শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার পারভেজ এবং বিকেল ৩টার দিকে কুমরুল শাহপাড়া গ্রামে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদা পারভিন।
বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরীরা হলো- উপজেলার জোয়ারী ইউনিয়নের কুমরুল শাহপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে আঁখি (১৩)।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
অপরজন একই উপজেলার নগর ইউনিয়নের মুশিন্দা গ্রামের আব্দুল আউয়ালের মেয়ে আঁখি (১৫)। সে পাঁচবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পাঁচবাড়িয়া গ্রামের নানাবাড়িতে তার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল।
বড়াইগ্রাম ইউএনও মো. আনোয়ার পারভেজ এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, আজ তার উপজেলার দুই গ্রামে এ দুইটি বিয়ের দিন ধার্য ছিল। দুপুরের দিকে বরসহ বরযাত্রীরা দুই কনের বাড়িতে আসার পর খাওয়া দাওয়া পর্ব চলছিল। এ অবস্থায় খবর পেয়ে তিনি নিজে পাঁচবাড়িয়া গ্রামে এবং অপরটিতে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদা পারভিনকে পাঠিয়ে দুই বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। তবে এসময় তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যান।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দুই মেয়ের অভিভাবকদের কাছ থেকে বাল্যবিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকারসহ মুচলেকা নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৮
আরএ