ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
সম্পাদক পরিষদের মানববন্ধন সোমবার সম্পাদক পরিষদের সংবাদ সম্মেলন/ছবি: শাকিল

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে ১৫ অক্টোবর (সোমবার) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবে সম্পাদক পরিষদ। 

শনিবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন সম্পাদক পরিষদের অন্যতম সদস্য দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।  

তিনি বলেন, এটি আমাদের স্থগিত কর্মসূচি, নতুন করে আবার পালন করা হবে।

মানববন্ধনে শুধু সম্পাদক পরিষদের সদস্যরাই অংশগ্রহণ করবেন। এটি আমাদের এ মুহূতের কর্মসূচি। পরবর্তীতে কি হবে, সেটা আমরা আবার বসে ঠিক করবো। এটি আমাদের স্থগিত কর্মসূচি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সর্বশেষ তথ্যমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তিনজন মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় সুস্পষ্ট একটি ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, আমাদের যেসব সমস্যা আছে, যেসব ত্রুটি আমরা তুলে ধরেছিলাম। তারা এগুলো মন্ত্রিপরিষদে নিয়ে যাবেন। পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে সর্বজনের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হবে। সেটা না হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি বাংলাদেশে সাইবার সিকিউরিট আরও সুসংগঠিত, সমৃদ্ধ, আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। সাইবার সিকিউরিটির ব্যাপারে বাংলাদেশের আরও শক্ত অবস্থানে যাওয়া উচিত। আমরা এটাও মনে করি সাইবার সিকিউরিটির ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য আইনও প্রয়োজন।

মাহফুজ আনাম বলেন, সম্পাদক পরিষদ কখনোই ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনকে প্রত্যাখান করে নাই। এ আইনের কতগুলো ধারা রয়েছে, যেগুলোকে (৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৩) আমরা মনে করি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী, সাংবাদিকদের কাজ করার পরিবেশ থাকবে না, বারবার সেই ধারাগুলোর পরিবর্তন চেয়ে এসেছি। আমরা এ আইন বাতিল চাইনি। কতগুলো বিশেষ ধারার আমূল পরিবর্তন চেয়েছি। উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের আইনটি সর্ম্পকে সুচিন্তিত মতামত থাকার সুবিধার্থে আইনটি পড়ার অনুরোধ জানান মাহফুজ আনাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহফুজ আনাম বলেন, আইনের যেসব ধারা নিয়ে আমরা বক্তব্য দিয়েছি, সেগুলো সাংবাদিকদের জন্য সংকটের সৃষ্টি করবে। তাই আমরা বারবার যেই ধারাগুলোর কথা বলে আসছি, সেগুলোর আমূল সংশোধন চাই। সংসদের এ অধিবেশন শেষ হওয়ার আগে এটি সংশোধনের সম্ভাবনা আছে।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাক স্বাধীনতা রক্ষাও আমাদের উদ্দেশ্য, তবে আমরা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়েই বক্তব্য রেখেছি। আমরা সব সময় মনে করছি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন হবে। এধরনের একটি আইন ভারতে হওয়ার পরে সেখানকার উচ্চ আদালত আইনটি সংবিধান বিরোধী বলে রায় দিয়েছে। আমরা গভীর ভাবে উপলব্ধি করি, আইনের সংশোধন করা সম্ভব। সরকার সিরিয়াস হলে সংশোধন আনতে পারেন। আমাদের সঙ্গে বৈঠকে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করার পরেও সরকার চাইলে এ আইন সংশোধন করা যেতে পারে। এটি খুব সুস্পষ্ট প্রক্রিয়া। আমরা চাইবো আইনটি সংশোধন করা হবে।

সরকার সংশোধন না করলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মাহফুজ আনাম বলেন, আমরা পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শহীদুজ্জামান খান, দি ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক সামসুর রহমান মোমেন, মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, ইনকিলাম সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, সংবাদ সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, নয়াদিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ, ঢাকা ট্রিবিউন সম্পাদক জাফর সোবহান, করতোয়া সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এসই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।