শনিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘ট্রাফিক সচেতনতামূলক সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
কমিশনার বলেন, পূজার পর ১৫ দিন বা মাসব্যাপী আবারও ট্রাফিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে।
ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কিছুটা পরিবর্তন এসেছে, তবে এটা ভিজ্যুয়াল করার জন্য পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ব্যর্থতা থাকলেও পুলিশের পরিশ্রম বা ইচ্ছার ঘাটতি নেই উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, অন্য কর্মজীবীরা আট ঘণ্টা কাজ করলেও পুলিশ সদস্যরা সর্বনিম্ন ১২ ঘণ্টা ও সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে প্রধান সমস্যা আমাদের আইন না মানার সংস্কৃতি।
তিনি বলেন, ঈদে ৩০-৪০ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়, তখন যানজট থাকে না। এর মানে এ শহর অতিরিক্ত মানুষের চাপ নিতে পারছে না। অপর্যাপ্ত সড়কের পাশাপাশি আমাদের সড়কে ইঞ্জিনিয়ারিং ও পরিকল্পনার ত্রুটি রয়েছে। এজন্য ভৌত-অবাকাঠামোগত পরিবর্তন জরুরি হয়ে পড়েছে।
সমাজের গণ্যমান্যরা আইন না মানলে সাধারণদের কতটা দোষ দিতে পারি এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দায়িত্বরতরা আগে আইন মানুন। এমনকি পুলিশ সদস্যদের কেউ ট্রাফিক আইন অমান্য করলে কাউকে একবিন্দু ছাড় দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
পিএম/আরআর