এসময় তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে আপনারা ঝড়, বৃষ্টি, কুয়াশা উপেক্ষা করে এমনকি ঈদের দিনেও আমার পাশে ছিলেন। নিউজ কভারেজ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। সতর্কভাবে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের টোলপ্লাজার কাছে মঞ্চ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব।
মন্ত্রী আরো বলেন, পদ্মাসেতু নির্মাণে যেসব সফলতা, অবদান ও কৃতিত্ব সবকিছু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। দৃশ্যমান পদ্মাসেতু শেখ হাসিনার একক সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। এখানে অন্য কারো কোনো অবদান নেই।
অত্যন্ত সংকটের সময় তিনি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন বিশ্ব ব্যাংক সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করবে না বলে সরে গিয়েছিল। তিনি আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, তা বিপদসংকুল। কিন্তু আমি আমার লিডারের দেওয়া সেই দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি একা নই, এখানে একটি দল কাজ করেছে। এখানে সচিব, পিডি, সেনাবাহিনীর মূল্যবান অবদান ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এমন একটা সময় ছিল যখন হলি আর্টিজান হামলার পর পদ্মাসেতুতেও হামলার ষড়যন্ত্র ছিল। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি এক্ষেত্রে কতটা কাজে লেগেছে তা বাস্তবে হাড়ে হাড়ে আমি টের পেয়েছি। অস্বীকার করার কিছু নেই। বিদেশি প্রকৌশলী, পরামর্শকরা চলে যেতে চেয়েছিলেন। এইরকম প্রতিকূল পরিবেশে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাহস যুগিয়েছে। বাস্তবে এই সত্যতা অস্বীকার করার কিছু নেই। অস্বীকার করার কিছু নেই পদ্মা পাড়ের মানুষের অবদান। শিবচর, জাজিরা, লৌহজং, শ্রীনগর উপজেলার জনগণ, জনপ্রতিনিধি সীমাহীন কষ্ট স্বীকার করেছেন।
পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে হয়েছে। পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দেওয়ার বেদনা অংকুরে বিদ্যমান। সেই ত্যাগ স্বীকার করেছেন এই দুই পাড়ের মানুষ। পদ্মাসেতু নির্মাণ এই পর্যায়ে আসার পেছনে উভয় পাড়ের জনগণের সীমাহীন ত্যাগ ও অবদান রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
আরএ