শনিবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফ্রিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এসপি মোহম্মদ মইনুল হাসান।
প্রেসব্রিফ্রিংয়ে এসপি জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা চাঁনপুরার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু কন্যা (ভিকটিম) মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়।
দীর্ঘ ২৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও সন্তানের খোঁজ না পেয়ে শিশুটির বাবা দশমিনা থানায় একটি নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৬/১৮। এরপরে পুলিশের কয়েকটি দল অনুসন্ধান শুরু করে জানতে পারে হারুন নামে এক কবিরাজ শিশুটিকে নিয়ে নিখোঁজের দিন থেকে ওই এলাকা থেকে চলে গেছেন।
কবিরাজ হারুন ঠিকানাবিহীন হওয়ায় পুলিশ রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুরসহ সাত থেকে আটটি জেলায় খোঁজখবর নেয়। কিন্তু শিশুটির কোনো সন্ধান পায়নি।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পরে পুলিশ বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মুগদাপাড়া এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ। এ সময় অপহরণকারী কবিরাজ হারুনকেও আটক করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হারুন জানান, তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী শাহনাজকে সেবা করার জন্য শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। তবে শিশুটি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। এজন্য শিশুটির মেডিকেল পরীক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।
ঠিকানাবিহীন হারুন দীর্ঘদিন দশমিনা উপজেলার সহজ-সরল মানুষদের ঝাড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসা চালিয়ে আসছিল। হারুনের বিভিন্ন জেলায় একাধিক স্ত্রী রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এমএস/এএটি