সোমবার মহালয়ার মধ্যদিয়ে দেবীপক্ষের শুভ সূচনা হয়েছে। পুরাণ মতে, অজেয় অসুরের কাছে পরাজিত দেবতারা স্বর্গচ্যুত হয়ে অসুর বধের জন্য শক্তির দেবী দুর্গার হাতে তাদের নিজ নিজ অস্ত্র তুলে দেন।
অশুভ শক্তি আজও সর্বত্র বিরাজমান। শারদীয় দুর্গাপূজার মর্মবাণী হচ্ছে দেবকূলের মতো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আসুরিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের পরাভূত করা।
এবার দুর্গাপূজায় সারাদেশে ৩১ হাজার ২৭২টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। গতবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৭৭টি। এবার বেড়েছে ১ হাজার ১৯৫টি। এরমধ্যে ঢাকায় ৬ হাজার ৮০৪টি, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৫০৬টি, সিলেটে ২ হাজার ৩৪১টি, খুলনায় ৪ হাজার ৮৮৩টি, রাজশাহীতে ৩ হাজার ৫৪২টি, রংপুরে ৫ হাজার ৩৭১টি, বরিশালে ১ হাজার ৭২৪টি ও ময়নসিংহে ২ হাজার ১০১টি। একমাত্র সিলেট বিভাগ ছাড়া বাকি সাতটি বিভাগেই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বেড়েছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পর্কে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশেই পূজা উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই শারদীয় দুর্গোৎসব সার্বজনীন। আসলে পূজাটা আমাদের হিন্দু ধর্মালম্বীদের আর উৎসবটা বাঙালির। এর প্রমাণ দেখা যায় পূজামণ্ডপে যত লোক আসেন তার ৮০ শতাংশই সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়ের লোক। আমরা আসা করছি এবার উৎসবটা সুন্দর ও প্রাণবন্ত হবে।
শারদীয় উৎসব যে দিন দিন বাড়ছে তা এবারের পূজামণ্ডপের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যায়। ২০০৯ সালে যেখানে ৯ হাজার পূজামণ্ডপে পূজা উদাযাপিত হয়েছে, সেখানে এবার ৩১ হাজার ২৭২টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপিত হবে।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কিশোর রঞ্জন মণ্ডল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পূজা উদযাপনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় এবারের উৎসব হবে আরও প্রাণবন্ত।
রোববার ১৪ অক্টোবর বোধনের মাধ্যমে শুরু হবে এবং ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীর মাধ্যমে পরিসমাপ্তি ঘটবে শারদীয় দুর্গাপূজার। ১৯ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন বিকেল ৩টায় মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী কেন্দ্রীয় মন্দির থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জগন্নাথ হল, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, পুলিশ হেড কোয়ার্টার, গোলাপ শাহ মাজার, গুলিস্তান, নবাবপুর, রায়সাহেব বাজার, সদরঘাটের ওয়াইজঘাট বীণাস্মৃতি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৮
এসএম/এএ